বর্ষার মরশুমে ভেঙে গিয়েছে বাঁশের সেতু : দড়ি ধরে নৌকাই ভরসা নদী পারাপারে

25th August 2020 12:35 pm বাঁকুড়া
বর্ষার মরশুমে ভেঙে গিয়েছে বাঁশের সেতু : দড়ি ধরে নৌকাই ভরসা নদী পারাপারে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  কথায় আছে নদীর পাড়ে বাস চিন্তা বারো মাস। তবে এই গ্রামবাসীদের বারো মাসের চিন্তা না হলেও বর্ষা কাল বড় চিন্তার।  বর্ষায় নদীর জলের স্রোতে ভেসে যায় নদী পারাপারের বাঁশের ব্রীজ। সমস্যায় পড়েন চার পাঁচটি  গ্রামের মানুষ।  ছোট্ট নদী হলেও বর্ষায় তার  স্রোতের দাপটে ভেঙ্গে যায়  গ্রাম বাসীদের হাতে গড়া বাশের ব্রীজ আর চরম দুশ্চিতায় পড়েন গ্রামবাসীরা। বার বার গ্রামের মানুষজন পাকা ব্রীজ নির্মানের দাবি তুলেছেন  তাতে আখের লাভ কিছুই হয়নি। তাই ভরা বর্ষায় শালী নদীতে এখন নৌকা করেই ঝুকির পারাপার গ্রামবাসীদের।

বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের রোল অঞ্চলের ভেটিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ছোট্ট নদী শালি নদী।  নদীর অপর প্রান্তে রয়েছে দধাড়, শালখাড়া, বারুল সহ পাঁচ ছয়টি গ্রাম। এই গ্রাম গুলি আবার পাত্রসায়ের ব্লক এলাকার মধ্যে পড়ে। এই সমস্ত গ্রামের মানুষের মুল বাজার স্কুল কলেজ অন্যান্য বিভিন্ন কাজে ইন্দাস হলো প্রান কেন্দ্র।  ওই গ্রামের মানুষ কে ইন্দাস আসতে হলে পার হতে হয় শালি নদী।  তাই এলাকার গ্রামবাসীরা নিজেদের চেষ্টায় শালি নদী পারাপারের জন্য নদী পথে বাঁশের সেতু নির্মান করে যাতায়াত করেন।  সারা বছর ওই গ্রামের মানুষজন নিত্য নৈমিত্তিক কাজে নদির উপর তৈরি করা বাঁশের সেতু পথ ব্যবহার করেন। অল্প বৃষ্টি হলেই বাড়ে শালি নদীর জল তাই গ্রামবাসীরা নদী পারাপারের সুবিধার জন্য সারা বছর এই  বাঁশের সাঁকো  তৈরি করে রাখেন। কিন্তু ভরা বর্ষায় ফি বছরের মতো এ বছরও ব্যাতিক্রম হয়নি।  বর্ষার বৃষ্টিতে দুকুল ছাপিয়ে জল বয়ে যায় শালি নদীতে। বর্ষার তীব্র জলের স্রোতে ভেঙ্গে যায় গ্রাম বাসীদের হাতে গড়া বাশের তৈরি পারাপারের সেতু। অস্থায়ী সেতু ভেঙ্গে পড়ার জেরে  এপারের সাথে ওপারের মানুষের যোগাযোগ   বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিকল্প রাস্তা থাকলেও এতটায় ঘুরপথ যার জন্য গ্রামের মানুষজন  ওই রাস্তা ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখায়না। তাই বাধ্য হয়ে ছোট্ট নদীর বুকে নৌকা ভাসিয়ে  গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। ব্রীজ ভেঙ্গে পড়েছে যাতায়াত করতে হবে তাই গ্রামের মানুষের ভরসা এখন নৌক।   প্রতি বছর বর্ষা এলেই প্রত্যন্ত গ্রামের ওই কটা গ্রামের মানুষের বড় সমস্যার মধ্যে দিন কাটে। গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার কথা ভেবে বার বার গ্রামবাসীরা এই ছোট্ট নদীর উপর পাকা সেতুর দাবি জানিয়েছে ।  এই সমস্যা বহু বছরের আর গ্রামের মানুষের দাবিও বহু বছরের। মিলেছে সুধু প্রতিশ্রুতি। বছরের পর বছর ওই গ্রামের মানুষ সুধু প্রতিশ্রুতিকে আকড়ে ধরে নিজেদের জীবন জীবিকা ও নিত্য নৈমিত্তিক কাজের কথা ভেবে  গ্রামের মানুষ নিজেদের উদ্যোগে বাশের সেতু তৈরি করে পারাপার করেন আর বর্ষা কালে নদীর স্রোতে ভেঙ্গে গেলে নৌকা করে পারাপার এই ভবেই কঠিন সমস্যায় ওই গ্রামের গ্রামবাসীরা।  গ্রামের মানুষের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় রোল অঞ্চলের প্রধান। ব্রিজের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছেন বলেই দাবি প্রধানের। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।